দেশে সারের কোনো সংকট হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দিন আহমেদ। আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।
এসময়, বিদ্যমান জ্বালানি সংকট দূর করতে এলএনজি আমদানি অব্যাহত রাখা হয়েছে বলেও জানান উপদেষ্টা।
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির আজকের বৈঠকে ৭টি প্রস্তাবের ৪টিই ছিল সার কেনা সম্পর্কিত। আর দু’টি এলএনজি আমদানি সম্পর্কিত। সবগুলোই অনুমোদন পেয়েছে।
বৈঠকে সৌদি আরব থেকে প্রতি মেট্রিক টন ৩৪৬ দশমিক তিন তিন মার্কিন ডলারে দ্বিতীয় লটের ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানিউলার ইউরিয়া সার আমদানি করা হবে।
ইউরিয়া সার কেনা হবে কাফকো থেকেও, প্রতি ইউনিট ৩৩৫ দশমিক পাঁচ শূন্য মার্কিন ডলারে চতুর্থ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানিউলার ইউরিয়া সার।
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মরক্কো থেকে প্রতি মেট্রিক টন ৪১৫ মার্কিন ডলারে ষষ্ঠ লটের ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার এবং সৌদি আরব থেকে প্রতি মেট্রিক টন ৫৮১ মার্কিন ডলারে দশম লটের ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সারও আমদানি করা হবে।
স্পট মার্কেট থেকে দুই কার্গো এলএনজি আমদানি করা হবে, যেগুলোর প্রতি ইউনিটের দাম যথাক্রমে ১৩ দশমিক পাঁচ সাত মার্কিন ডলার এবং ১৩ দশমিক সাত সাত মার্কিন ডলার।
এছাড়া নেত্রকোণায় ১০ হাজার মেট্রিক টন এবং ময়মনসিংহে ২৫ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার সার গুদাম নির্মাণকাজ বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।